সাংবাদিকের নাম প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:৫২ এএম
নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। পরিবেশ, কাজের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সময় লেগে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে চাকরি হারানোর ভয়। অকারণেই যা আপনাকে কাবু করছে প্রতিদিন। ফলে কমছে কাজের মান।
চাকরিক্ষেত্রে সবাইকে প্রতিযোগিতা করেই টিকে থাকতে হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষ ও উপযুক্ত কর্মীকে বেছে নিতে চায়। তাই আপনাকে সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। এই দক্ষতাগুলো রপ্ত করলে চাকরি হারানোর কোনো ভয়ে থাকতে হবে না। এমনকি হারালেও নতুন চাকরি খুঁজে পেতে খুব বেশি বেগ পোহাতে হবে না।
#কখনো শেখা বন্ধ করবেন না
মনে রাখবেন, শেখার কোনো শেষ নেই। ক্যারিয়ারে সফল হতে হতে হলে এই বৈশিষ্ট্যটি নিজের মধ্যে রপ্ত করে ফেলুন। যেকোনো পরিস্থিতিতে, যেকোনো বিষয় থেকেই জ্ঞান আহরণ করতে চেষ্টা করুন। ফলে আপনার চিন্তার পরিধি বাড়বে, জ্ঞানও সমৃদ্ধ হবে। নতুন কিছু শেখার ক্ষেত্রে অনলাইন হতে পারে আপনার উত্তম সঙ্গী। বিভিন্ন বিষয়ে সহজে জানা যায় এখানে।
#লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
যে কাজ দেওয়া হয়েছে যেকোনো মূল্যে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে— এমন চিন্তা নিয়েই আগাবেন। মাঝপথে হাল ছেড়ে দেবেন না। যদি, পরিধির বাইরেও কোনো কাজ দেওয়া হয় তবুও নিজেকে মোটিভেট করুন। অন্তত শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করুন। লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ করলে তা সহজে পারা যায়। কর্তৃপক্ষও এমন কর্মীকে পছন্দ করে।
#গুছিয়ে কাজ করুন
কাজ করার ক্ষেত্রে দিনের শুরুতেই একটি তালিকা করে ফেলুন। সেই অনুযায়ী আগান। এতে দ্রুত কাজ শেষ হবে। গুছিয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। একটি কাজ শেষ করে অন্য একটি কাজ করুন। এলোমেলোভাবে করলে কোনো কাজই ঠিকভাবে হয় না। এমন কর্মীকে কেউ পছন্দও করেন না।
#দলগতভাবে কাজ করতে শিখুন
আপনি দারুণ কাজ করেন কিন্তু সহকর্মীদের সঙ্গে আন্তরিক নন। দলগতভাবে কাজ করতে দিলে তা ভালোভাবে করতে পারেন না। এমন বৈশিষ্ট্য থাকলে দ্রুত তা বদলে ফেলুন। বর্তমানে অনেক চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে দলগত কাজে দক্ষ হওয়ার কথাটি উল্লেখ থাকে। কারণ প্রতিষ্ঠান চায়, কর্মীরা একসঙ্গে কাজ করুক। এছাড়া দলে সফলভাবে কাজ করতে দক্ষ একজন কর্মীই হতে পারেন আগামী দিনের নেতা বা টিম লিডার।
দলগতভাবে কাজের আরেকটি ভালো দিক হলো, এতে মানুষ আপনাকে কীভাবে গ্রহণ করছে তা সহজে বুঝতে পারবেন। সহকর্মীদের সঙ্গে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ও সম্পর্ক গড়ে উঠতে এভাবে কাজ করলে।
#আত্মবিশ্বাসী হোন
আত্মবিশ্বাসী হওয়া অবশ্যই একজন কর্মীর ভালো গুণ। তবে নিজের দায়িত্বর প্রতি নম্র হওয়াও বাঞ্ছনীয়। এই বিষয়টি মাথায় রাখলে যেকোনো কর্মক্ষেত্রে সফল হবেন। উচ্চ আত্মবিশ্বাস যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ায়। আর অন্যান্যরাও একজন আত্মবিশ্বাসী বক্তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। অন্যদিকে, নম্র হতে হবে এ কারণে যে আপনি অনেককিছু জানেন মানে এই নয় যে সব জানেন। কখনো কখনো আপনি ভুলও করতে পারেন।
#কাজকে উপভোগ করুন
চাকরি হারানোর ভয় আপনাদের মধ্যে থাকার মানে হচ্ছে কাজকে উপভোগ করছেন না। কর্মক্ষেত্রে যে দায়িত্বেই থাকুন না কেন, আনন্দ নিয়ে কাজ করুন। কাজ উপভোগ করলে তা বাড়তি চাপ মনে হয় না। ফলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। কাজ সমৃদ্ধ হবে। কর্তৃপক্ষ আপনাকে দক্ষ কর্মী হিসেবে বিবেচনা করবে।
#নিজেকে চ্যালেঞ্জ দিতে শিখুন
এই কাজ আমাকে দিয়ে হবে না- এমন ভাবনাকে বদলে ফেলুন। যে কাজকে ভয় পাচ্ছেন তা অবশ্যই চেষ্টা করলে পারবেন ভেবে আগান। নিজেকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে কাজ করলে নতুন অভিজ্ঞতা হয়। কাজ শেখা যায়। ভেবেছিলেন পারবেন না এমন কাজও দক্ষতার সঙ্গে পারা সম্ভব নিজেকে চ্যালেঞ্জ প্রদানের মাধ্যমে। তাই, এই বৈশিষ্ট্যটি রপ্ত করুন।
চাকরিক্ষেত্রে টিকে থাকার ক্ষেত্রে নিজের কাজের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত যে কোনো কর্মীর। মনোযোগ দিয়ে নিজের কাজ করুন। চাকরি হারানোর ভয়ে থাকতে হবে না।