সাংবাদিকের নাম প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:৫৫ এএম
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হককে ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানিয়েছে উত্তরা ও বিমানবন্দর থানার বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। ঘেরাওয়ের সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের সাথে আমিনুলের বেশ ধাক্কাধাক্কি হয়। এক পর্যায়ে আমিনুল নিজেই নেতাকর্মীদের কিল-ঘুষি দিতে দেখা গেছে।
রোববার (৫ জুন) দুপুরে উত্তরা ৭ নং সেক্টরে অনুষ্ঠিত ১, ৫১ ও বিমানবন্দর সাংগঠনিক ওয়ার্ডের সম্মেলন শুরু আগে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সদস্য সচিব আমিনুলকে সব পক্ষকে নিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে ইউনিট কমিটি করে সম্মেলন দেওয়ার দাবি জানান। নেতাকর্মীরা আমিনুলের একপেশে ভূমিকার সমালোচনা করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। প্রতিবাদের এক পর্যায়ে নেতাকর্মীরা আমিনুলের গাড়ির সামনে রাস্তায় শুয়ে পড়ে। এসময় দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বিক্ষুব্ধরা নেতাকর্মীরা জানায়, নগর পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে উত্তরা ১২টি ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করছেন নগর নেতারা। নগর বিএনপি থেকে ঘোষিত প্রতিটি ওয়ার্ডের আহ্বায়ক কমিটির সকল যুগ্ম আহ্বায়কের সমন্বয়ের মাধ্যমে ইউনিট কমিটি করার কথা থাকলেও টিম প্রধান, আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কদের মতামতকে উপেক্ষা করে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ব্যক্তি বিশেষের পছন্দমতো ইউনিট গঠন করে নেয়।
এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের প্রভাবশালী প্রার্থীরা এতদিন বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে আসলেও কাজ হচ্ছিল না। তাদের মতে অদৃশ্য কারণে বিশেষ একটি সিন্ডিকেটকে সুবিধা দিতে বেশ তৎপর নগর সদস্য সচিব আমিনুল।
এসময় নেতারা কাউন্সিল ভোটের নামে প্রহসন করার অভিযোগও করে বলেন, এখন পর্যন্ত যে কয়টি ওয়ার্ডে সম্মেলন করা হয়েছে সেখানে সঠিকভাবে ভোট গণনা না করে মনগড়া রেজাল্ট প্রকাশ করে দেয়। কারণ ভোটের গণনার সময় সংশ্লিষ্ট প্রার্থী বা তার এজেন্টকে কোনো ওয়ার্ডের রেজাল্ট গণনার সময় কাছে রাখা হয়নি। শৃঙ্খলার কথা বলে সদস্য সচিব আমিনুল কোনো প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীকেই সম্মেলনের কাস্টিং ভোট দেখতে দেননি। মূলত অদৃশ্য কারণে ভোট নিয়ে এ নাটকের আয়োজন করছে নগর বিএনপির নেতারা। এর পেছনে মোটা অঙ্কের লেনদেনের কথাও বলেন কয়েকজন।
সবশেষ আজ দুপুরে এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে এসে তারা আমিনুলকে ঘেরাও করে রাখেন তারা। আমিনুল বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের কোনো কথা না শুনে দুই হাত দিয়ে সবাইকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এসময় নেতারা আমিনুলকেও নাজেহাল করেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে নগর উত্তর সদস্য সচিব আমিনুলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। উত্তরা পশ্চিম থানা ওসি আকতারুজ্জামান ইলিয়াস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হককে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।